সফটওয়্যার ফ্রিডম ডে

১৭ সেপ্টেম্বর সফটওয়্যার ফ্রিডম ডে। প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় শনিবার বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে জাকজমকভাবে পালিত হয় এই দিবসটি। এই বছর সফটওয়্যার ফ্রিডম ডে উপলক্ষে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হচ্ছে প্রায় ১০০টির বেশি দেশে। শিক্ষা, ব্যবসা বানিজ্য, সরকারী কার্যক্রম পরিচালনা, ব্যাক্তিগত কাজে ব্যবহার – এক কথায় বলতে গেলে দৈনন্দিন সকল ধরনের কাজ করার উপযোগী বিভিন্ন ধরনের মুক্ত সফটওয়্যার ব্যবহার সম্পর্কে সচেতনতা তৈরী এবং সার্বিক সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষে এই উৎসবের আয়োজন করা হয়ে থাকে। মূলত সকলে জন্য কম্পিউটার নিশ্চিত করার উদ্দেশ্য থেকেই এটি শুরু করা হয়েছে।

সফটওয়্যার ফ্রিডম ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি প্রতিষ্ঠান সর্ব প্রথম এই দিবসটি পালনের উদ্যোগ নেয় এবং বর্তমানে এটি একটি সার্বজনীন উৎসবে পরিনত হয়েছে। ২০০৪ সাল থেকে নিয়মিত ভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবকরা এই এই দিবসটি পালন করে আসছে। প্রতিবছরই অংশগ্রহনকারী দেশের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রথম বছর থেকেই ক্যানোনিকাল লিমিটেড এই উৎসবে প্রধান পৃষ্ঠপোষক , এছাড়া অন্যন্য পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে গুগল , নোকিয়া, রেড হ্যাট, লাইনোড মেকার বট ইন্ডাস্ট্রি, লিনাক্স জার্নাল, জুমলা, ফ্রি সফটও্যার ফাউন্ডেশন ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান।

সফটওয়্যার ফ্রিডম ডে- শুরুর কথা
স্টলম্যানের দেখিয়ে দেখা পথ অনুযায়ী ফ্রি/মুক্ত সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। দৈনন্দিন সব ধরনের কাজ করার উপযোগী সফটওয়্যার তৈরী হতে থাকে। ২০০৪ এর জানুয়ারীর শুরুর দিকে ম্যাট ওকুয়েস্ট নামের একজন প্রোগ্রামার মুক্ত/ফ্রি সফটওয়্যার বিতরণের জন্য একটি আন্তর্জাতিক দিন ঘোষনার প্রস্তাব করেন। সেই সময় “দি ওপেন ডিস্ক” নামের একটি প্রকল্প শুরু করা হয়েছিল যার মাধ্যমে মাইক্রোসফট উইন্ডোজে ব্যবহার উপযোগী মুক্ত/ফ্রি সফটওয়্যার গুলো একত্রে বিতরণ করা হচ্ছিলো। খুব দ্রুত তার এই প্রস্তাডের উপর ভিত্তি করে “সফটওয়্যার ফ্রিডম ডে” নামের এই দিবসটি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এবং প্রথম বছবই বিশ্বের ৭০টি স্থানে এই দিবসটি পালন করা হয়। এবং প্রতি বছর এর সংখ্যা বাড়ছে।

মু্ক্ত সফটওয়্যার এবং সফটওয়্যার স্বাধীনতা

মুক্ত সফটওয়্যার বা ফ্রি সফটওয়্যার বলতে মূলত একই ধরনের সফটওয়্যারকে বুঝানো হয়ে থাকে। ফ্রি সফটওয়্যারের ফ্রি শব্দটি বিনমূল্য নয় বরং ফ্রিডম অর্থে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই ধরনরে সফটওয়্যারগুলো কিছু বিশেষ লাইসেন্সের অধিনে প্রকাশ করা হয়ে থাকে, যেখানে সফটওয়্যার ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিশেষ কিছু স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়ে থাকে। যেমন সফটওয়্যারগুলো যেকেউ ব্যবাহরের সুযোগ পাবে, সফটওয়্যারটির সোর্সকোড প্রকাশ করতে হবে যেন সফটওয়্যারগুলো কিভাবে কাজ করছে সেটি সম্পূর্ণভাবে জানার সুযোগ থাকে। ব্যবহারকারী তার পছন্দ অনুযায়ী এই সফটওয়্যারগুলো বিতরণ করতে পারবে এমনকি যদি সে সফটওয়্যারটি সম্পাদনা বা পরিবর্তন করে থাকে সেই পরিবর্তীত সংস্করণও বিতরণের অধিকার থাকবে ব্যবহারকারীর। প্রত্যেক কম্পিউটার ব্যবহারকারীকে এই স্বাধিনতা নিশ্চিত করতেই মু্ক্ত/ফ্রি সফটওয়্যার আন্দোলন শুরু হয়েছিল।
ফ্রি সফটওয়্যার এবং এর ধারনাটি সর্বপ্রথম প্রকাশ করেন রিচার্ড স্টলম্যন নামের একজন মার্কিন কম্পিউটার প্রোগ্রামার। ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে কার্মরত অবস্থায় তিনি যে সময় থেকে এই আন্দোলনটি শুরু করেন তখন থেকেই সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠানগুলো সফটওয়্যারের সাথে ব্যবহারকরীদের এর সোর্স কোড দেয়া বন্ধ করে দিতে শুরু করে। এ ধরনের প্রোপ্রায়েটারী সফটওয়্যার আগেও ছিল, কিন্তু আশির দশকের শুরু থেকে এটিই মূল ধারায় পরিণত হতে থাকে। ধিরে ধিরে স্টলম্যনের এই আন্দোলনে অধিক মানুষ অংশগ্রহন করতে থাকে। বর্তমানে বহু ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান সমষ্টিগতভাবে ফ্রি বা মুক্ত সফটওয়্যারের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন ।

সাধারণ ব্যবহারকারীর অধিকার রক্ষার উদ্দেশ্যেই শুরু হয়েছিল মুক্ত/ফ্রি সফটওয়্যার আন্দোলন। একে একটি বৃহত্তর সামাজিক আন্দোলন হিসেবে রূপ দিয়েছেন রিচার্ড স্টলম্যান। কম্পিউটার বিজ্ঞানের বিশাল এই ক্ষেত্রটি এককভাবে পরিচালনা করছে গুটি কয়েক প্রতিষ্ঠান। ব্যবহারকারীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে হলেও তাদের দেখানো পথ অনুযায়ী চলার চেষ্টা করা হচ্ছে। কম্পিউটার ব্যবহার করার জন্য শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কিছু মালিকানাধিন সফটওয়্যারের উপর যে নির্ভরশীল হওয়ার প্রয়োজন হয় না, এই পথটি দেখানোর চেষ্টা করা হয় এই সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে। প্রতি বছর বিশেষ এই দিনটির মাধ্যমে বিশ্ববাসীকে এই কথাটি বার বার মনে করিয়ে দেয়া হয়।

বর্তমানে এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে মুক্ত সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয় না। তবে মুক্ত/ফ্রি সফটওয়্যার বলতে যে শুরুমাত্র লিনাক্স অপারেটিং সিস্টেমকে বোঝানো হয় এমনটি নয় আবার এটি যে সকল ক্ষেত্রে বিনামূল্যে পাওয়া যাবে এই কথাটিও ঠিক না। মুক্ত সফটওয়্যার বলছে কম্পিউটারে ব্যবহার উপযোগী সকল ধরনের সফটওয়্যাই হতে পারে। বর্তমানে বহুল ব্যবহৃত মুক্ত সফরওয়্যারগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্রাউজার মজিলা ফায়ারফক্স, ভিএলসি মিডিয়া প্লেয়ার, ওপেন অফিস, লিনাক্স ভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম,অ্যাপাচি সার্ভার, বাইন্ড, মেইল সার্ভার সেন্ডমেইল ও কিউমেইল ইত্যাদি।

বাংলাদেশে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই এই উৎসবটি পালন করা হচ্ছে। ঢাকার একাধিক স্থানে এই দিনটি বিশেষভাবে পালন করা হয়ে থাকে। এছাড়া গত বছর ঢাকার বাইরে বেশ কয়েকটি জায়গায়ও এই দিনটি পালন করা হয়েছিল।

সফটওয়্যার ফ্রিডম ডে সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে পারা যাবে http://softwarefreedomday.org/ ঠিকানা থেকে।

তৈরি করুন নিজের সুপার কম্পিউটার

কম্পিউটারের মাধ্যমে সাধারণ কাজগুলো দ্রুতগতিতে করা যায়। এমনিতে যে কম্পিউটারগুলো আমরা ব্যবহার করে থাকি, এর বাইরে আরও নানা ধরনের কম্পিউটার রয়েছে। সুপার কম্পিউটার হলো এমন বিশেষ ধরনের কম্পিউটার, যার মাধ্যমে বড় ধরনের কাজগুলো দ্রুতগতিতে করা যায়। এ ধরনের কম্পিউটারগুলো আকারেও বেশ বড় এবং অন্যান্য কম্পিউটারের মতো এটি সাধারণ বাজারে বিক্রি করা হয় না, ফলে ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সুপার কম্পিউটারগুলো ব্যবহার করার কোনো সুযোগ নেই।

কম্পিউটার শব্দের আভিধানিক অর্থ হলো গণনা যন্ত্র। সুপার কম্পিউটার এই গণনার কাজটি করতে পারে অসাধারণ দ্রুতগতিতে। সুপার কম্পিউটারে প্রসেসর কোরের সংখ্যা সাধারণ কম্পিউটার থেকে কয়েক গুণ বেশি থাকে। সাধারণ কিছু কম্পিউটারের মাধ্যমে এবং অতিরিক্ত কোনো খরচ বা ওই কম্পিউটারে কোনো পরিবর্তন না করেই এখানে একটি একাধিক (মাল্টি) কোর কম্পিউটার তৈরি করা যায়। এই পদ্ধতিতে তৈরি কম্পিউটার একটি সুপার কম্পিউটারের কাজের বিস্তারিত পড়ুন

উবুন্টুতে বাংলা লেখার বিভিন্ন পদ্ধতি

উবুন্টুতে বাংলা লেখার কীবোর্ড লেআউট ইনস্টলের সময়ই দেয়া থাকে। সাধারণ পদ্ধতিতে লেআট যুক্ত করা ছাড়াও সম্প্রতি IBus নামে কীবোর্ড লেআউট যুক্ত করার নতুন একটি পদ্ধতি যুক্ত করা হয়েছে। বাংলা কীবোর্ড লেআউট যুক্ত করার পদ্ধতি এবং লেআউট পরিবর্তন করার জন্য সর্টকাট কী চালু করার পদ্ধতি নিচে দেখানো হল।

সাধারণ পদ্ধতি

লেআউট পরিবর্তনের সর্টকাট তৈরী

IBus ইনপুট পদ্ধতি ব্যবহার

সাধারণ পদ্ধতি

উবুন্টুতে বাংলায় লিখতে চাইলে প্রথমে বাংলা কী-বোর্ড অ্যাড করে নিতে হবে।প্যানেল থেকে System >> Preferences >> Keyboard এ ক্লিক করুন। যে Keyboard Preferences উইন্ডো আসবে তার Layouts ট্যাব-এ ক্লিক করলে নিচের উইন্ডোটি দেখা যাবে। বিস্তারিত পড়ুন

উবুন্টুতে জিপিআরএস/এজ/জুম মডেম অথবা মোবাইলের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার

জিপিআরএস বা এজ মডেমের মাধ্যমে উবুন্টুতে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায়। এমন কি সিটিসেল জুম মডেম ব্যবহার করারও সুযোগ রয়েছে উবুন্টুতে। এধরনের মডেম বা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করার বিভিন্ন পদ্ধতি দেখানো হল:


জিপিআরএস বা এজ মডেম দিয়ে ইন্টারনেট ব্যাবহার (গ্রাফিকাল মোড)

গ্রামীনফোন, একটেল, বাংলালিংক, ওয়ারিদ এর কানেকশন ব্যবহার করে জিপিআরএস/ এজ মডেম বা মোবাইল এর মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে চাইলে এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে হবে। সিটিসেল বা টেলিটক কানেকশন ব্যবহার করে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে চাইলে নিচের অংশে দেখতে হবে।

System >> Preferences >> Network Connections ওপেন করতে হবে। তৃতীয় ট্যাব Mobile Broadband এ বিস্তারিত পড়ুন

উবুন্টুতে ব্রডব্যান্ড সংযোগ স্থাপন (Auto, Static এবং PPPOE)

উবুন্টু ইনস্টলের পরপরই ইন্টারনেট সংযোগ চালু করে নেয়া উচিত। বিভিন্ন সফটওয়্যার ইনস্টল বা কনফিগার করার জন্য ইন্টারনেট সংযোগ প্রয়োজন হতে পারে। নিচে বিভিন্ন ধরনের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সংযোগ ব্যবহারের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হল।

যে ধরনের কানেকশন নিয়ে ব্যবহার দেখানো হবে:

ব্রডব্যান্ড সংযোগ স্থাপন (Auto Ethernet)

অনেকক্ষেত্রেই ব্রডব্যান্ড সংযোগ চালু করতে বিশেষ কোন ধরনের কনফিগার করতে হয়। সাধারণত হার্ডওয়্যারের ম্যাক অ্যাড্রেস পরীক্ষা করে এই ধরনের কানেকশন বিস্তারিত পড়ুন

উবুন্টু ডেক্সটপ

ডেক্সটপ, স্ক্রীনের সব কিছুর পেছনে থাকে।কোন উইন্ডো ওপেন করা না হলে উপরের এবং নিচের প্যানেলের মাঝের অংশকে ডেক্সটপ বলা যেতে পারে। এখানে কোন ফাইল, ফোল্ডার, সফটওয়্যার সর্টকাট কপি করে রাখা যায়। ডেক্সটপে কপি করে রাখা হলেও এই ফাইল বা ফোল্ডার গুলা Home ফোল্ডারের ভেতর Desktop নামে সাবফোল্ডারে থাকে।

প্যানেল পরিচিতি

সাধারনভাবে উবুন্টু ডেক্সটপে উপরে ও নিচে দুটি প্যানেল থাকে। তবে এরকম সেটিং ব্যাবহার বাধ্যতামূলক না। দরকার ও প্রয়োজন অনুযায়ী প্যানেলে সংযোজন বা বিস্তারিত পড়ুন