নতুন সফটওয়্যার অবমুক্ত করেছে গুগল

গত বছরের শেষ দিকে সার্চ ইঞ্জিন গুগল ‘নিক সফটওয়্যার’ প্রতিষ্ঠানটিকে অধিগ্রহণ করে। স্ন্যাপস্পিড নামের একটি আইফোন অ্যাপ এবং ডেস্কটপ সফটওয়্যারে ব্যবহার করা হয় এই সফটওয়্যারটি। এর পাশাপাশি শৌখিন ও পেশাদার ফটোগ্রাফারদের ব্যবহারের উপযোগী বেশ কিছু ছবি সম্পাদনার টুল তৈরি করেছে এই প্রতিষ্ঠানটি। অ্যাডবি ফটোশপ, এবং অ্যাপার্চারের সঙ্গে অতিরিক্ত হিসেবে ব্যবহার করা যায় এই সফটওয়্যারগুলো। অধিগ্রহণের সময় এই সফটওয়্যারগুলো কিংবা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আর্থিক চুক্তির বিষয়ে কিছু জানায়নি।
সম্প্রতি গুগল নিক সফটওয়্যারের ছয়টি প্লাগ-ইনসের একটি বান্ডেল প্রকাশ করেছে ১৫৯ ডলারে। এই প্লাগ-ইনগুলো ফটোশপ এবং অ্যাপার্চারে ব্যবহার করা যাবে। ‘নিক কালেকশন বাই গুগল’ নামে প্রকাশিত এই বান্ডেলটি পূর্বের তুলনায় ৭০ শতাংশ কম মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। পাশাপাশি প্লাগ-ইনগুলো ১৫ দিন বিনা মূল্যে ব্যবহার করার সুযোগ দিচ্ছে গুগল। বান্ডেলে যে প্লাগ-ইনগুলো রয়েছে, সেগুলো হলো এইচডিআর ফটোগ্রাফি টুল ‘এইচডিআর ইফেক্স প্রো ২’, রঙিন ছবি সম্পাদনার জন্য ‘কালার ইফেক্স প্রো ৪’, সাদাকালো ছবি সম্পাদনা টুল ‘সিলভার ইফেক্স প্রো ২’, নির্দিষ্ট টোন নির্ধারণ এবং কালার কারেকশনের জন্য ‘ভিভেজা ২’, নয়েজ সম্পাদনার জন্য ‘সারপেনার প্রো ৩’ এবং ‘ডিফাইন২’।
গুগলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ভিক গুন্ড্রোট্রা বলেন, গুগলের পক্ষ থেকে সব সময়ই নিক সফটওয়্যারের এই প্লাগ-ইনসগুলো প্রকাশ করা হবে। নতুন এই বান্ডেলটি প্রকাশ নিক সফটয়্যার ব্যবহারকারীদের জন্য একটি বিশেষ সুবিধা তৈরি করবে। একই সঙ্গে আরও নতুন ব্যবহারকারী এই সফটওয়্যার ব্যবহার শুরু করবে। এ ছাড়া স্ন্যাপস্পিডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এই সফটওয়্যারগুলো তৈরির ক্ষেত্রে তাদের উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ মানুষ যেন এটি সহজেই ব্যবহার করতে পারে এবং তাদের শিল্পীসত্ত্বাকে প্রকাশ করতে পারে। অধিগ্রহণের ক্ষেত্রেও গুগল এই উদ্দেশ্যকে বিশেষ প্রাধান্য দিয়েছে। —টেকক্রাঞ্চ অবলম্বনে নাসির খান

Published on Prothom-Alo 27 March, 2013, http://www.prothom-alo.com/detail/date/2013-03-27/news/339769

খুঁজে বের করুন হারিয়ে যাওয়া অ্যান্ড্রয়েড ফোন

সাধারণ মোবাইল ফোনের পাশাপামিস্মার্টফোনের ব্যবহার এখন বেড়েছে। বিশেষ করে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা মোবাইল ফোনের ব্যবহার তো বেড়েই চলেছে। অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোনগুলোতে বিভিন্ন ধরনের কাজ করা যায় অ্যাপ্লিকেশনস (অ্যাপস) ব্যবহার করে।যদি হঠাৎ ফোনটি হারিয়ে যায়, তবে নিয়মিত কাজগুলোতে বিভিন্ন ধরনের অসুবিধার সৃষ্টি হয়। আবার এমনও হতে পারে, হয়তো বাসা থেকে বের হওয়ার সময় মোবাইলটি সঙ্গে নেওয়া হয়নি। এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে এবং অ্যান্ড্রয়েড ফোনের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য বেশ কিছু অ্যাপ্লিকেশন আছে।

১. হোয়্যার ইজ মাই ড্রয়েড (http://goo.gl/LImXw)
হারানো ফোন খুঁজে পাওয়ার জন্য হোয়্যার ইজ মাই ড্রয়েড অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি অ্যাপ।হারিয়ে যাওয়া ফোনটির অবস্থান চিহ্নিত করা, সেটি খুঁজে পাওয়া এবং ফোনের তথ্য নিরাপদে রাখার জন্য এতে আছে বিভিন্ন সুবিধা। ফ্রি, লাইট এবং প্রো নামের আলাদা তিনটি সংস্করণ রয়েছে এর। ফোন হারিয়ে গেলে বা চুরি হয়ে গেলে এসএমএসের মাধ্যমে ফোনের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য নিয়ন্ত্রণ করা যায়। এই অ্যাপ্লিকেশনের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো, এখানে কমান্ডার নামে একটি অংশ রয়েছে। কমান্ডার সক্রিয় থাকলে অ্যাপ্লিকেশনটির মূল ওয়েবসাইট থেকে ফোনের অবস্থান নির্ণয় করা যায়।

২. অ্যাভাস্ট (http://goo.gl/F72Xa)
অ্যাভাস্ট অ্যাপ্লিকেশনটি তৈরি করা হয়েছে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য। অ্যাপের একটি অংশ অ্যান্টিভাইরাস এবং ম্যালওয়্যার স্ক্যান করে। আর অ্যাপটিতে App Disguiser এবং Stealth Mode নামের দুটি বিশেষ সুবিধা রয়েছে। এটি ব্যবহার করে ব্যবহারকারী অ্যাপটি লুকিয়ে রাখতে পারবেন। এটি বিশেষভাবে কার্যকর, যদি ফোনটি কখনো চুরি হয়ে যায়।
তবে অ্যাপ্লিকেশনটি আনইনস্টল করার পদ্ধতিটি বেশ জটিল। ইনস্টল করার পর যদি ফোনটি খোঁজা হয় কখনো, তা হলে অ্যাপটি আনইনস্টল করা একরকম অসম্ভব হয়ে যায়। অ্যাপ্লিকেশনটি নিজে থেকেই সিস্টেম রিস্টোর করতে পারে এবং ফোনের ইউএসবি পোর্ট বন্ধ করে দিতে পারে।

৩. প্ল্যান বি (http://goo.gl/0Z9ys)
তালিকার অন্য অ্যাপ্লিকেশনগুলো থেকে এটা কিছুটা আলাদা। ফোন হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হয়ে যাওয়ার পর হয়তো মনে হতে পারে, যদি আগেই একটি অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করা থাকত, তা হলে হয়তো ফোনটি খুঁজে পাওয়া যেত। আর এ ধরনের পরিস্থিতির জন্যই তৈরি করা হয়েছে প্ল্যান-বি অ্যাপটি। ফোনটি হারিয়ে যাওয়ার পর গুগল প্লে সাইটে গিয়ে এই অ্যাপটি ইনস্টল ক্লিক করতে হবে। এরপর অ্যাপটি নিজে থেকেই ইনস্টল হয়ে যাবে এবং স্বয়ংক্রিয়ভাবে জিপিএস চালু হয়ে যাবে। ফোনটির অবস্থান বের করার পরপরই একটি ই-মেইলের মাধ্যমে গুগল ম্যাপের লিংকসহ ফোনের অবস্থানটি জানিয়ে দেওয়া হবে।

৪. লুকআউট (http://goo.gl/QApgd)
লুকআউট হলো অ্যান্ড্রয়েড যন্ত্রগুলোর উপযোগী অপর একটি পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা এবং ব্যাকআপ নেওয়ার সফটওয়্যার। এই অ্যাপের মাধ্যমে বিনা মূল্যে অ্যান্টিভাইরাস-সুবিধা পাওয়া যায়। পাশাপাশি ফোনে থাকা নাম, ঠিকানা, ফোন নম্বর ও তথ্য ব্যাকআপ নেওয়ারও সুবিধা পাওয়া যাবে এখানে। আর মোবাইল ফোন হারিয়ে বা চুরি হয়ে গেলে এসএমএসের মাধ্যমে ফোন লক করে দেওয়া বা অবস্থান চিহ্নিত করার সুবিধাও রয়েছে এখানে।

৫. লস্ট ফোন (http://goo.gl/X73yq)
হারিয়ে যাওয়া ফোন খুঁজে পাওয়ার জন্য অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশনের মতো একই ধরনের সুবিধা পাওয়া যাবে এখানে। যার মধ্যে রয়েছে এসএমএসের মাধ্যমে ফোন লক করে দেওয়া, ফোনের অবস্থান জানা। আবার ফোনের রিংটোন বাড়িয়ে দেওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে এখানে, যেন ওই নম্বরে ফোন করা হলে সেটি খুঁজে পাওয়া যায়। আর এখানে আরও একটি বিশেষ সুবিধা হলো, যে সিম কার্ডটি লাগানো অবস্থায় এই অ্যাপটি ইনস্টল করা হয়েছে, সেটি পরিবর্তন করে অন্য কোনো সিম লাগানো হলে অ্যাপ সেটিংসে উল্লেখ করা নির্দিষ্ট কয়েকটি নম্বরে নতুন সিম নম্বরটি এসএমএস হিসেবে চলে যাবে।

 

Published on: Prothom alo (24-08-2012) http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-08-24/news/283301

 

গুগল প্লাসে পছন্দমতো নাম

একেবারে শুরু থেকেই গুগল প্লাস তার ব্যবহারকারীদের বিশেষ কিছু সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী গুগল প্লাসে ব্যবহারকারীর সংখ্যাও বাড়ছে বেশ দ্রুত। আর সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট হিসেবে ফেসবুকের সঙ্গে স্বভাবতই তুলনা চলে আসে। গুগল প্লাস চালু হওয়ার প্রথম থেকেই এর ব্যবহারকারীদের অন্যতম চাহিদা ছিল প্রোফাইল এবং পেজগুলোর জন্য সংক্ষিপ্ত ইউআরএল ব্যবহারের সুবিধা যোগ করা। সম্প্রতি গুগল বেশ কিছু ব্যবহারকারী এবং বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের জন্য সংক্ষিপ্ত আকারের ইউআরএল ব্যবহারের সুবিধা চালু করেছে। যেমন টয়োটা কোম্পানির গুগল প্লাস প্রোফাইলের লিংক হবে www.google.com/+toyota
নতুন এই বৈশিষ্ট সম্পর্কে গুগলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে বর্তমানে নির্দিষ্ট কিছু ব্যবহারকারীর জন্য এই বৈশিষ্ট্যটি চালু করা হলেও এটি গুগল প্লাসের সব ব্যবহারকারীর জন্যই উন্মুক্ত করা হবে। বর্তমানে গুগল প্লাস ব্যবহারকারীর প্রোফাইল ইউআরএল হিসেবে ব্যবহারকারীর বেশ বড় আকারে আইডি দেখানো হয়। এমনকি এখানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের পেজ বা বিষয়ভিত্তিক পেজগুলোর জন্যও একই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। প্রোফাইল আইডির বড় আকারের সংখ্যাটি স্মরণ রাখাও বেশ কষ্টকর। যার ফলে খুব অল্পসংখ্যক প্রতিষ্ঠানই নিয়মিতভাবে বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে গুগল প্লাস প্রোফাইলটি ব্যবহার করত।
এখানে উল্লেখ্য, ফেসবুক ২০০৯ সালে প্রথম এই ধরনের বৈশিষ্ট্যটি চালু করেছিল। এবং সেই সময় থেকেই ব্যবহারকারীরা বিশেষত বিভিন্ন পেজের জন্য এই ধরনের ছোট আকারের ইউআরএল তৈরির বিষয়টি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। —টেক ক্রাঞ্চ অবলম্বনে নাসির খান

Published on: http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-08-23/news/283032

গুগল ট্রান্সলেটরে ছবি থেকে অনুবাদ

সম্প্রতি গুগল ট্রান্সলেটর অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপের একটি নতুন সংস্করণ প্রকাশ করা হয়েছে। নতুন এই সংস্করণের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো, ছবিতে থাকা কোনো লেখা অ্যাপের মাধ্যমে অনুবাদ করা যাবে। নতুন সংস্করণের অ্যাপটি থেকে ছবি তোলা একটি অপশন রাখা হয়েছে। ক্যামেরা দিয়ে তোলা ছবি অথবা আগে থেকে সংরক্ষণ করা কোনো ছবি এই ট্রান্সলেশন অ্যাপের মাধ্যমে অনুবাদ করা যাবে। গুগল ডক থেকে বেশ অনেক দিন আগে থেকেই ছবি থেকে লেখায় স্থানান্তর করার সুযোগটি রয়েছে। ট্রান্সলেশনের নতুন অ্যাপে এই বৈশিষ্ট্যটি আরও বর্ধিত আকারে ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। গুগল ট্রান্সলেটরে যে সব ভাষা থেকে অনুবাদ করা যায় তার সবগুলো এখনই এখানে পাওয়া যাচ্ছে না। বর্তমানে অন্তর্ভুক্ত করা ভাষাগুলোর মধ্যে রয়েছে ডাচ, জার্মান, তুর্কি, রাশিয়ান, পর্তুগিজ, পোলিশ, ইতালিয়ান, স্প্যানিশ, ফ্রেঞ্চ ইত্যাদি।
অ্যান্ড্রয়েড ২.৩ জিঞ্জারব্রেড বা এর পরবর্তী কোনো সংস্করণ ইনস্টল করা রয়েছে এমন সব ফোন বা ট্যাব থেকেই এই অ্যাপটি ব্যবহার করা যাবে। আর অনুবাদ করার কাজটি যেহেতু গুগলের মূল ইঞ্জিনের মাধ্যমে ব্যবহার করতে হবে, তাই এটি ব্যবহার করার সময় ইন্টারনেট সংযোগ সক্রিয় হবে।
এর পাশাপাশি নতুন সংস্করণে স্পিচ ইনপুটের পদ্ধতিটি উন্নত করা হয়েছে, ফলে আঞ্চলিক পদ্ধতিতে উচ্চারণ করা হলেও মূল শব্দগুলো সঠিকভাবে চিহ্নিত করা সম্ভব হচ্ছে। হাতে লিখে ইনপুটের ক্ষেত্রেও জাপানি ভাষার মান উন্নয়ন করা হয়েছে।
—নাসির খান

Published at: http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-08-18/news/282643

গুগল+ থেকে সরাসরি ওয়েবকাস্ট

গুগল+, সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় একটি ওয়েবসাইট। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায় এই ওয়েব সেবাটি।শুরুর পর থেকেই যে বৈশিষ্ট্যগুলোর প্রতি এখানে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে তার একটি হলো গুগল প্লাস হ্যাংআউটস। গুগল প্লাস হ্যাংআউটসের মাধ্যমে একজন গুগল প্লাস ব্যবহারকারী তার সার্কেলের অন্য একজন ব্যবহারকারীর সঙ্গে ভিডিও চ্যাট, ফাইল আদান, স্ক্রিন শেয়ারসহ অন্যান্য আরও অনেক ধরনের অ্যাপ ব্যবহারের সুযোগ পাবে। আর এটি শুধু অপর একজন ব্যবহারকারীই নয়, সার্কেলের একাধিক বন্ধু অথবা একাধিক সার্কেলের সবার সঙ্গেই একই সঙ্গে হ্যাংআউটসে অংশগ্রহণ করা যায়। গুগল প্লাস চালু হওয়ার মাত্র দেড় মাসের মধ্যেই মোবাইল থেকে এই হ্যাংআউটস সুবিধাটি ব্যবহার করার জন্য স্মার্টফোন অ্যাপ প্রকাশ করা হয় আর এ সুবিধা দেওয়া হয় মোবাইল ফোনের সংস্করণটিতেও।
হ্যাংআউটসের সাধারণ বৈশিষ্ট্যগুলোর সঙ্গে প্রথম থেকেই আরও একটি বিষয় নিয়ে পরীক্ষা চলছিল, আর সেটি হলো সরাসরি সম্প্রচার (লাইভ ব্রডকাস্ট)। প্রথম দিকে নির্দিষ্ট কিছু ব্যবহারকারীর জন্য এটি উন্মুক্ত ছিল। বর্তমানে গুগল প্লাস হ্যাংআউটস অন এয়ার” নামের এই বিশেষ সুবিধাটি উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে গুগল প্লাসের সব ব্যবহারকারীর জন্য। হ্যাংআউটসের মূল কাজটি হলো অন্যান্য কিছু ব্যবহারকারী অথবা নির্দিষ্ট একটি গ্রুপের সঙ্গে যোগাযোগ করা। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রে হয়তো এমন কিছু ব্যবহারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ প্রয়োজন যারা নির্দিষ্ট ব্যবহারকারীর সার্কেলে নেই অথবা প্রয়োজন হতে পারে বহু সংখ্যক ব্যবহারকারীর সঙ্গে একই সময়ে যোগাযোগ করা। সে ক্ষেত্রে সাধারণ হ্যাংআউটসের মাধ্যমে এই কাজটি করা যাবে না। অন এয়ার হ্যাংআউটসে গুগল প্লাসের মাধ্যমে এই কাজ করা যাবে। অনএয়ার হ্যাংআউটসে যেকোনো ব্যবহারকারীই অংশগ্রহণ করতে পারে। এবং এখানে সাধারণ হ্যাংআউটসের অন্যান্য সুবিধাও পাওয়া যাবে।
পরীক্ষামূলকভাবে চালু করার পর এই বিশেষ সুবিধা ব্যবহার করা হয়েছে বিষয়ভিত্তিক পাঠদান, গেম শো, মিউজিক কনসার্টসহ আরও বিভিন্ন ক্ষেত্রে। গুগল প্লাস হ্যাংআউটস অন এয়ারের মাধ্যমে লাইভ ব্রডকাস্ট করার ক্ষেত্রে যে সুবিধাগুলো পাওয়া যাবে তার মধ্যে অন্যতম কয়েকটি নিচে উল্লেখ করা হলো। আর এসব সুবিধাই গুগল প্লাসের ব্যবহারকারীরা বিনা মূল্যে ব্যবহার করতে পারবেন।
* প্রতিটি অন এয়ার গুগল প্লাস হ্যাংআউটসের একটি নির্দিষ্ট নামে প্রকাশিত হয়। ফলে সেটি গুগল সার্চের মাধ্যমে অন্য যে কেউ দেখতে পারবে, একই সঙ্গে এটি গুগল প্লাস স্ট্রিমেও দেখা যায়।
* হ্যাংআউটসগুলো শুধু যে গুগল প্লাস প্রোফাইল বা স্ট্রিমে দেখা যাবে তা-ই নয়, লাইভস্ট্রিমগুলো একই সময়ে ব্যবহারকারীর ইউটিউব চ্যানেল বা অন্যান্য ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও দেখা যাবে।
* হ্যাংআউটসে মোট কতজন অংশগ্রহণ করেছে বা কতজন সরাসরি সেটি দেখছে এটি জানতে পারা যাবে অন এয়ার ব্রডকাস্ট প্যানেল থেকে।
* সরাসরি সম্প্রচারের সময় এটি রেকর্ড হতে থাকে এবং শেষ হয়ে যাওয়ার পর ভিডিওটি ব্যবহারকারীর ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা হয়। পাশাপাশি এটি গুগল প্লাসের মূল পোস্ট থেকেও দেখা যায়। ফলে লাইভ স্ট্রিমে অংশগ্রহণ করতে না পারলেও পরবর্তী সময়ে এটি দেখা যাবে বা সেটি নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ পাওয়া যাবে। গুগল ব্লগ অবলম্বনে

published at : http://www.prothom-alo.com/detail/date/2012-06-01/news/262232

অফিস ফাইল ওয়েবে সমন্বয়

সাধারণ ব্যবহারকারীরা কম্পিউটারে যে কাজটি সবচেয়ে বেশি করেন, সেটি হলো অফিস প্রোগ্রামের ব্যবহার। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওয়েবভিত্তিক অফিস প্রোগ্রামগুলোও জনপ্রিয় হচ্ছে। এ ধরনের প্রোগ্রাম ব্যবহার করার প্রধান সুবিধা হলো, বন্ধু বা সহকর্মীদের সঙ্গে সহজেই ফাইল আদান-প্রদান করা এবং সমন্বিতভাবে কাজটি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।
অন্যদিকে ডেস্কটপ কম্পিউটারে ব্যবহূত অফিস প্রোগ্রামগুলোর মধ্যে মাইক্রোসফট অফিস বেশি জনপ্রিয়। সম্পাদনা ও ফরম্যাটিং করার জন্য অনলাইন প্রোগ্রামগুলোর চেয়ে এতে অনেকটাই বেশি সুবিধা পাওয়া যায়। তবে সমন্বিতভাবে কাজ করার সরাসরি কোনো সুবিধা পাওয়া যাবে না এসব গুচ্ছ সফটওয়্যারে।
মাইক্রোসফট অফিস থেকেই যদি লেখা বা ছবি ইন্টারনেটে প্রকাশ (আপলোড), ডকুমেন্ট সমন্বয়, হালনাগাদ বা সিনক্রোনাইজ করার ব্যবস্থা থাকে, তবে সেটি সবচেয়ে বেশি কার্যকর হতো। অতিরিক্ত কিছু প্রোগ্রাম (প্লাগ-ইন) ব্যবহার করে ডেস্কটপের ফাইলগুলো ওয়েবভিত্তিক গুগল ডক, জোহো ও মাইক্রোসফট অফিস লাইভের মতো সফটওয়্যারের বিস্তারিত পড়ুন